আজকে তাহার জন্মদিনে কী-ই বা করি সিজদা বিনে..
'তোমাদের মাঝে এমন একটি দল থাকবে যারা মানুষকে কল্যানের পথে ডাকবে, সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে'-আল-কুরআন
এটা মানব-সভ্যতার ইতিহাস । যেখানেই জমাটবাধা ঘনঘোর অন্ধকার সেখানেই প্রোজ্জ্বল আলোর মশাল নিয়ে উপস্থিত হন স্রষ্টার দুত।অন্যায়,অনাচার,পাপাচার,অসত্য,অপরাধ,অশ্লীলতা,অধর্ম,অশিক্ষা, দুর্নীতি, দুরাচার, পঙ্কিলতা যখনই এই সুন্দর ধরনীকে কলুষিত-বিষাক্ত করার চেষ্টা করেছে তখনই মহামহিম আল্লাহর অপার করুনার রহম-বারি বর্ষিত হয়েছে ধ্বংসন্মুখ জাতির ওপর ।
জান্নাতের সেই রহমতের ঝর্নাধারায় সিক্ত এক আলোক-কাফেলা হতাশার মহাসমুদ্রে নিমজ্জিত বাংলাদেশের জনগনকে দেখিয়েছিল সান্তনার সবুজ দ্বীপের ঠিকানা । ছাত্রসমাজকে জাহান্নামের পার্শ্বদেশ থেকে সরিয়ে এনে কুরআনের কুহকে আবদ্ধ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলো সেদিন এ জান্নাতী সংগঠন ।
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে আল্লাহু-আকবর ধ্বনির প্রথম স্বাধীন উচ্চারণ হয়েছিল এ দিনটিতে ।
১৯৭৭ সালের ৬-ই ফেব্রুয়ারী ।
সভ্যতা-জ্ঞান-প্রগতির কথিত সূতিকাগার যখন বালা-বর্ম পরিহিত বিভ্রান্ত তরুনদের বিষাক্ত ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত ছিল,
সমাজতন্ত্র-পুঁজিবাদ , ধর্মনিরপেক্ষতা আর সর্বহারার মতবাদ যখন কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছিলো কোমলমতি জ্ঞানতাপস ছাত্রসমাজের মেধা-মনন কে, ছিলনা শান্তি, স্বস্তি আর স্বকীয়তা। অর্থনৈতিক শোষণ-রাজনৈতিক নিপীড়ন আর সাংস্কৃতিক গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ করার সকল আয়োজন যখন সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে তখনই হেরার রশ্মীর প্রতিফলনে ঝকঝকে সাদা আকাশ নিয়ে আবির্ভাব এ পবিত্র সংগঠনের।
প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরে ১৩১ শহীদের রক্তের নজরানায় আজ এ সংগঠন এদেশে ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন-সবচেয়ে প্রিয়-সবচেয়ে নিরাপদ সংগঠনে পরিনত হয়েছে । শৃঙ্খলা-মেধা-চরিত্রের প্রভায় প্রভাবিত আজ গোটা দেশ ।
হাজারো জুলুম নির্যাতন- মিথ্যা অপপ্রচার-মিডিয়া সন্ত্রাস এর অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারেনি এতোটুকু বরং উল্টো মানুষের কাছে প্রমানিত করেছে প্রিয় রাসুল সাঃ এর আন্দোলন ও কর্মপদ্ধতির সাথে সাদৃশ্য । আল্লাহর রাসুল সাঃ কে যেধরনের অপপ্রচার - বিরোধিতা -নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে একেও একই মাত্রার জুলুম-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ।
পোষ্টটি বার পড়া হয়েছে..